আমি খুঁজি তারে চিলেকোঠার পাশে সেই খোলা ছাদে,
আমি খুঁজি তারে হারিয়ে যাওয়া কথা আর অজস্র প্রমাদে।
আমি খুঁজি তারে একলা থাকার পালায়,
আমি খুঁজি তারে কাটা ধান ক্ষেতের জালায়।
আকাশের নীল নীলিমায়, কখনোবা ক্ষুধার্ত শিশুর কান্নায়।
সমুদ্রের লবণাক্ত জলে, আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা স্থলে।
কংক্রিটের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা শহরে,
নতুন বউ আনতে যাওয়া বরযাত্রীদের বহরে।
মেঘনার ঢলে মেয়ে হারানো আমিনার মায়ের চোখে,
অসংখ্য দুর্ঘটনায় লোকচক্ষুর অলখে।
বাঁশ বাগানের দিকে যেতে সেই আধখানা পুকুরে,
তীব্র রোদে ঝলসে যাওয়া ভরদুপুরে।
আম্রপালি আমের বাগানে ঝুলে থাকা শাখায়,
অসীম আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখির পাখায়।
আমি তারে খুঁজি যার খোঁজ মেলা ভার,
দুষ্কর তারে পাওয়া ভিন্ন তার আভার।
প্রান্তে দুরন্তে অনন্তে স্বায়ান্যে আমি তারে খুঁজি হন্তদন্ত হয়ে,
বাতাসে তার অস্তিত্ব শুনি অনেক বলে কয়ে।
আমি রুখে দাঁড়াতে চাই তার না শেষ হওয়া পথ,
তাকে বিশ্ব দেখাতে চাই এই দৃষ্টিতে চড়িয়ে আলিশান রথ।
আমি তারে খুঁজি অভিযোগ আছে কত শত,
আমি তারে খুঁজি গরু খোঁজার মতো।
আমি খুঁজি তারে যত্ন করে রেখে দিবো তাই,
আমি খুঁজি তারে যেন আমি আমাকে পাই।
দু’দন্ড শান্তি নেই ওই উড়নচণ্ডী দূষিত মস্তিষ্কের,
আমি খুঁজি তারে শুধু গোছাতে আখের।
খুঁজে না পাওয়ার ভারে আমি ক্লান্ত পরিশ্রান্ত,
আমার খোঁজার কৌশল সবই ভ্রান্ত।
একটু জিরিয়ে উঠবো যখন ভাবলাম,
পৃথিবী আলোকিত করে আমি তারে পাইলাম।
মরীচিকা সে তো পাশেই রয়েছে লুকিয়ে,
আমি আবার খুঁজি তারে মাথাটি ঝুঁকিয়ে।
